পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়
সাধারণত নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই পেটের মেদজনিত জটিলতা আছে বিশেষ করে সরা শরীরে তুলনায় পেটে মেদ জমে বেশি এবং অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে পেটের মেদ কমাতে সময় একটু বেশি লাগে তবে নিয়মিত সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করতে পারলে পেটে মেদ দূর করা সম্ভব এবং কি কি এগুলো আমরা জানবো
ফল সবজি খাব অথবা কিভাবে ব্যায়াম করব এবং প্রতিনিয়ত কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন আমাদের এবং পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমরা আর্টিকেলে তুলে ধরেছি তো চলুন দেরি না করে পেটের মেদ কিভাবে করা যায় এগুলো বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
- প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করবেন
- সাদা চাল সাদা আটার বিকল্প বেছে নিন
- নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন
- লেবুর পানি ম্যাড মেদ কমাতে সাহায্য করে
- আমরা যে ফলগুলো খাব
- শরীর চর্চায় মনোযোগ দিন
- হাই প্রোটিন ডায়েট
- পেটের মেদ কমানো খাবার তালিকা
- ডায়েট ও শরীরচর্চা পরেও যাদের ওজন কমে না
- পেটের মেদ কমানোর ঔষধ
- শেষ কথা
প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করবেন
যেমন সকালের ভালো করতে হয় এবং আমাদের দিনভর এনাজেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাস্তা তো করতেই হবে। সকালে নাস্তার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্ত শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার দরকার হবে না আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম দই বা প্রোটিন ভালো খাবার সকালে নাস্তার তালিকায় রাখতে হবে এবং সকালের নাস্তা টা প্রোটিন যুক্ত খাবার দিয়ে করুন সমৃদ্ধ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা ফলমূল শাকসবজি বেছে নিব এবং খাব
সাদা চাল সাদা আটার বিকল্প বেছে নিন
সাদা চাল সাদা আটা তৈরি করার সময় ফাইবার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ফেলে দেওয়া হয় ফাইবার খাবার কে আস্তে আস্তে হজম করতে সহায়তা করে ফাইবার ফেলে দেওয়ার কারণে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয় রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সাদা চাল ও সাদা আটার মত প্রক্রিয়াজাত শস্যদানা বেশি খাওয়ার সাথে মেদ জুমার সম্পর্ক রয়েছে।
অন্যদিকে লাল চাল কুড়া কাটা চাল হিসাবে পরিচিত এবং লাল আটার মত গোটা শস্যদানা বেশি খাওয়ার সাথে পেটের মান কমানো সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে লাল চাল বা লাল আটার স্বাদের সাথে অনেকেই অভ্যস্ত নয় তাই প্রথমে এটি ভালো না লাগতে পারে। কিন্তু এইটা পেটের ম্যাথ কমাতে সাহায্য করবে এবং উপকারী হবে প্রয়োজনে শুরুর দিকে সাদা চাল বা সাদা আটার সাথে কিছুটা লাল চাল বা আটা মিশিয়ে খাইতে পারবো
নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন
প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে অনিয়মিত জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর হয় না। একবেলার খাবার অন্য বেলায় খেলে এতে করে দেয় একটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। দেহে চর্বি জমার আশঙ্কা থাকে অনেকে আছেন অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য সকালে কোন কিছু না খেয়ে একেবারে দুপুরে খাবার খান।
এতে করে অতিরিক্ত ক্ষুধার কারণে দুপুরে খাওয়া বেশি হয়ে যায়। ফলে একদম মেদ কমে যাওয়ার পরিবর্তে বেশি হয়ে যায়। অর্থাৎ এক টাকা বাঁচাতে গিয়ে দশ টাকা লস হয়ে যায় এজন্য প্রতিদিনের খাবার নিয়ম অনুযায়ী একই সময়ে খেলে পেটে মেদ জমে না। ফলে অতিরিক্ত ম্যাড আস্তে আস্তে কমে যায়।
লেবুর পানি মেদ কমাতে সাহায্য করে
সকালে রোদে জানালার পাশে বসে এক গ্লাস লেবু পানি পান করার অভ্যাস করলে
আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করে অন্যদিকে লেবুর পানি হজমে সহায়তা করে এবং
বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে এক
চিমটি ডাল চিনি বা মধু যোগ করলে এর মেদ কমাতে সাহায্য করে।
আমরা যে ফলগুলো খাব
যেমন রেগুলার আখরোট বা ওয়ালনাট ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং মেদ কমাতেও সাহায্য করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধ করে এবং দেহে শক্তি যোগায় অথবা আপেলের মত পেয়ারতে আছে হাই ফাইবার। তাই পেয়ারার সিজনে পেয়ারা খেলেও আপনি পেটের মেদ কমাতে পারে আপেল সাইডার ভিনেগার এর মাধ্যমে ওজন কমানোর একটি টিপস
আছে ভিনেগার আসলে নিজে ওজন কমায় না কিন্তু খাওয়ার আগে এক চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খেয়ে নিলে আপনার খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিতে খুব হেল্প করবে। তাই যারা অনেক চেষ্টা করেও নিজের খাওয়া কন্ট্রোল করতে পারে না তারা চাইলে বেশি খেতে পারে অথবা ডিম দরকারি সব রকম পুষ্টি দেয় আর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা ভাত ধরে রাখার জন্য ডিমের কোনো ঝুঁকি নেই। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে ডিম খেলে আপনার দেহের প্রোটিন বাড়
শরীর চর্চায় মনোযোগ দিন
আপনি যখন শুয়ে বসে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সপ্তাহে ৫ দিন দ্রুত হাঁটেন তাহলে আপনার এটি ঘটতে বাধা দিবে প্রতি সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘন্টার ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে এবং আপনার শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করবে আপনি এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দের অন্য কোন ধর্মের ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। আপনি বাড়িতে মেদ কমানোর ব্যায়াম করতে পারেন কোন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বা জিমে না গিয়ে।
হাই প্রোটিন ডায়েট
প্রোটিন বিপাকীয় হাড় বাড়ায় এবং পেশির ভর ধরে রাখতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমূহ খাবার খেলে পেট ভর্তি থাকে এবং ঘন ঘন খুদা ভাব
কাটায় এবং হাই প্রোটিন ডায়েট যেহেতু পেট ভর্তি রাখে তার ফলে ক্যালরি খরচও
কমে যায়। তাতে আখের পেটের মেদ কমতে শুরু করে। ডায়েটে প্রোটিন
অন্তর্ভুক্ত করা আপনাকে অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারের মত খাওয়ার
পরিমাণ ও কমাতে সাহায্য করবে। প্রোটিনের বেশ কিছু উৎস হল মুরগি মাছ ডিম
পনির এবং লেবু।
পেটের মেদ কমানো খাবার তালিকা
পেটের মেদ কমানোর জন্য আমরা খাবারগুলো খাব যেমন শুকনো ফল পেটের মেদ কমাতে খাদ্য তালিকায় শুকনো ফলগুলো রাখতে পারেন যেমন বাদাম কাঠবাদাম কাজ বাদাম খেজুর কিসমিস এগুলো খাবার খেলে পেটের মেদ কমে অথবা শাকসবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন শাকসবজি গুলো খাবার তালিকায় রাখার জরুরী পালন শাক লাউ ফুলকপি গাজর করলা শসা লাল শাক এগুলো সবজিতে পুষ্টির উপাদান ও ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং টক দই পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে তাই পেটের মেদ কমাতে এ খাবারটি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন
ডায়েট ও শরীরচর্চা পরেও যাদের ওজন কমে না
যেমন তাদের খেয়াল রাখতে হবে ঘুমের দিক কারণ ভালো ঘুম না হলে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত। ফলে ক্ষুধা ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ভিসারাল বা পেটে চর্বি জমে বেশি। এজন্য প্রতি রাতে পেটে পেটের মেদ কমানোর ঔষধকমপক্ষে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম আমাদের জরুরি এসব উপায় অনুসরণ করলে আপনি এক মাসে পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজন কমাতে পারে।
এবং চাইলে বেশি কমাতে পারেন তবে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে এক
মাসে 6 কেজি যথেষ্ট। পেটের চর্বি কমাতে অবশ্যই উপরোক্ত ব্যায়ামগুলো করতে হবে
যদিও আপনার ওজন কতটুকু কমবে তা নির্ভর করে খাদ্য ব্যায়াম ও উচ্চতা বয়স
চিকিৎসা ইত্যাদি এগুলো মেনে চলতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর ঔষধ
পেটের মেদ কমানো ঔষধ ঘরে বসে তৈরি করা যায় আপনি কিভাবে ঘরে বসে পেটের মেদ কমাবেন
তা হল ঘরোয়া উপায় পেটের মেদ কমানোর ঔষধ বানাতে যেগুলো উপাদান প্রয়োজন
আমাদের তা হলো জিরা এবং আদার রস এবং এক্সাম পাউডার এই ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে
পেটে মেদ কমে যাবে। এছাড়াও ম্যাথ কমাতে পারেন কালোজিরা এবং কাঁচা সবজি
পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য প্রোটিন সমূহ ফলমূল খেলে আমাদের পেটের
মেদ কমে যেতে পারে যেমন আপেল লেবু আমলকি কাঠবাদাম ও আরো অন্যান্য ফল।
শেষ কথা
পেটে মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে এই ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা
করি আপনি মেয়াদ কমানোর সহজে উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । এবং
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস জানতে
আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করে পাশে থাকবে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url