নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা


নিম পাতা ব্যবহারের ফলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করব এগুলো আমরা জানবো এবং নিম পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেই। এবং নিম পাতা গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে জানবো



 কিভাবে নিম পাতার গুড়ায় করলে ভালো হয় ও কিভাবে খেলে উপকার ভালো হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করব বর্তমান সময়ে নিম পাতার গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই কারণ নিম পাতার গুড়া খাওয়া উপকারিতা বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ জানে না তা আজ আমরা জানবো



নিম  পাতার  উপকারিতা 

নিমপাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া অনেক উপকা পাওয়া যায়। আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখবে আপনার যদি হজম সমস্যা  হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতা সেবন করা এবং অভ্যাস করা তাই নিম পাতা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানতে হবে তাহলে সঠিক উপকার পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যের জন্য যে সকল পুষ্টি প্রয়োজন তা সবগুলোই নিম পাতায় রয়েছে যদি আপনি নিয়মিত নিম পাতা সেবন করতে পারেন তাহলে শরীরে  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুস্থ রাখবে

এই বিষয়টি সবাই জানতে চায় সেটি হল আমাদের ত্বক সুন্দর রাখা আমরা যদি প্রতিদিন নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ ত্বক এ  ব্যবহার করতে পারি তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে

নিম পাতা প্রতিদিন খাওয়ার নিয়ম 

 সকালে প্রতিদিনলি খালি পেটে এক কাপ পানিতে মধু মিশিয়ে এবং নিম পাতার রস মিশিয়ে খাওয়া গেলে এটি শরীরের রক্ত চলাচল  প্রচলিত করতে পারে এছাড়া প্রতিদিন নিমপাতা সেবন করতে পারলে এটি শরীরে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শুধুমাত্র তাই না মিমের মধ্যে হজম সহায়ক কিছু উপাদান রয়েছে বদহজমের সমস্যাকে কমাতে এবং খাদ্য হজমে হয়তো করে অনেকেই এমন আছেন যারা অত্যাধিক রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো নিমপাতা এর নির্যাস শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্ত চলাচলের পথ ক্লিয়ার রাখে এবং রক্তচাপে সমস্যা 

নিমপাতার ক্ষতিকর দিক 

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক নিয়ে আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করব কারণ এর উপকারিতা সবাই কম বেশি জানলেও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বেশিরভাগ প্রায় সবাই কোন খেয়াল রাখে না আপনি যদি উপকারিতা গ্রহণ করতে চান তাহলে এর ক্ষতিকর দিক বা প্রতিক্রিয়া অবশ্যই রাখতে হবে তাছাড়া আপনি আপনার কাঙ্খিত সুফল পেতে বাধাগ্রস্ত হবেন তাই আগে নিম পাতার ক্ষতিকর  দিক বা প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভাবে জানতে হবে।

ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় একটি ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে বিশেষ করে সংবেদনশীল তা ত্বকে। তাই পুরো ত্বকে ব্যবহারের পূর্বে একটি ত্বকের ছোট অংশে ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত নিম পাতা ব্যবহার ফলে অনেকের এলার্জির সমস্যা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে গর্ভবতী মায়েদের নিমপাতা ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এতে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকতে পারে এবং শিশুদের জন্য নিমপাতা ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জন্য নিমপাতা ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং অন্যান্য ও ওষুধ ব্যবহার করতে করতে নিমপাতা খেলে ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে ইত্যাদি। 

নিমপাতা দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে 

নিমপাতা উপকারিতা কি কি তার মধ্য এটা দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে এটি এক প্রকার বড় ধরনের উপকার প্রাচীনকাল থেকেই একটি রেওয়াজ আছে নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত শক্ত হয় এবং দাঁতের অন্যান্য আরো ভালো হয়ে যায় 


আমি নিজেও নিমের ডালে মেসওয়াক করি নিমপাতা পানিতে মিশিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে বা কুলি করলে দাঁতের আক্রমণ দাঁতের ব্যথা দাঁতের পচন  দাঁতের রক্তপাত ইত্যাদি কমে যায় তাই আপনি এই নিমপাতা বা নিমের ডাল দাঁতের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।

চুল পড়া সমস্যায় নিম পাতার ব্যবহা 

চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।  আর এই চুল পড়া রোধ করতে নানা রকম উপায় অবলম্বন করতে হয় তার কোনটা কার্যকর কোনটা নয় আজ জেনে নেব তেমনি একটি কার্যকর উপায় আপনি মেয়ের পেট বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া অনেকটাই কমে যাবে মধু ও নিমপাতা রস মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত লাগান বিশ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে অথবা একটা চামচ আমলকি রস এক চা চামচ নিম পাতার রস এক চা চামচ লেবুর রস প্রয়োজন অনুযায়ী টক দই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করুন

নিমপাতা ব্যবহারে ব্রণ দূর করে 

প্রথমে এক মুঠো পরিষ্কার নিমপাতা নিন এরপর তা ভালো করে পেস্ট করে নিন এবার টেস্টের সঙ্গে মেশানো সামান্য লেবুর রস ও গোলাপ জল পেস্ট খুব বেশি পাতলা করবেন না এবার সেই মিশ্রণ মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন মুখের পাশাপাশি ঘাড়ে বগলে লাগিয়ে নিতে পারেন এভাবে রেখে দিন শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন এভাবে ব্যবহার করলে দ্রুত ব্রনের সমস্যা দূর হবে অথবা ব্রণ দূর করার জন্য আপনি ভাতার সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে প্যাক  তৈরি করতে পারেন

 যাদের ঠান্ডা লাগা ভয় রয়েছে তারা চন্দনের পরিবর্তে হলুদ বাটা মেশাতে পারে তবে ব্রণের সমস্যার ক্ষেত্রে চন্দন বেশি কার্যকরী এই দুই উপাদান মিশিয়ে নিন এরপর সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট এরপর মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন শুকনো তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে মুখ মুছে তাতে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন

চুলকানির সমস্যা নিম পাতার ব্যবহার 

চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহার বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত চুলকানির জন্য অনেকেই চিকিৎসার জন্য আগ্রহী হন অনেকে ডাক্তারের কাছে ও যান চোখের চুলকানিতে যদি পাতার পানি দশমিক চিন্তা করে ওই পানি নরমাল করে পানিটার ঝাপটা যদি চোখে নেওয়া যায় তাহলে চুলকানি ছেড়ে যাবে এবং অনেকগুলো নিমপাতা একমুঠো নিয়ে সিদ্ধ করলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর নামিয়ে ফেলার পরে ওই পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলে সব ধরনের চুলকানি সেরে যাবে

নিমপাতা লিভারে ক্ষতি করতে পারে 

অতিরিক্ত নিমপাতার ব্যবহারে লিভারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এতে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাই দীর্ঘমেয়াদে বা উচ্চমাত্রায় নিমপাতা ব্যবহার না করাই ভালো নিম পাতা এতসব উপকারী গুণের সঙ্গে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে যেমন যদি কারো কিডনি লিভারের সমস্যা থাকে

তবে চিকিৎসককে পরামর্শ ছাড়া নিমপাতা খাবেন না কারণ এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি আবার তোকে নিম পাতা ব্যবহারে এনার্জি সমস্যা দেখা দিলে তোকে নিম পাতার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকো চিকিৎসকরা বলেছেন নিমপাতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারিতা হলো গর্ভবতী নারী কিংবা বিবাহিত নারী ও পুরুষ যারা সন্তান চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি জীবনে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে কারণ নিম পাতা গর্ভপাতের কারণ হয়ে উঠতে পারে তাই বিবাহিতরা কখনো ভুলেও নিম পাতা খাবেন না

নিমপাতা শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় 

নিমপাতা প্রকৃতি হলেও এটি শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় শিশুদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং লিভার বিকাশিত হয় না ফলে নিমপাতার মধ্যে থাকা শক্তিশালী আলকালয়েড এবং অন্যান্য সক্রিয় জোক শিশুদের শরীরে বিপর্যয় সৃষ্টিকর্তে পারে অতিরিক্ত নীল সেবনে শিশুদের লিভারে সমস্যা হতে পারে এবং ত্বকে এলার্জি বা রাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে নবজাতক ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো উচিত

নিমপাতা দিয়ে কি কি তৈরি করা যায় 

নিমপাতা দিয়ে কি কি তৈরি করা যায় জেনে নেওয়া যাক প্রথমে বলবো নিমপাতা দিয়ে প্রকৃতি ভাবে আপনি ওষুধ তৈরি করতে পারবেন ও নিম পাতা দিয়ে বড়ি তৈরি করতে পারবেন যেই বলি আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত কাচের বোতলে মজুদ করে রাখতে পারবেন নিম পাতা বড়ি ডায়াবেটিসের রোগীদের খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে আবার আপনার শরীরে যদি জ্বর হয় সর্দি হয় বা কাশি হয় তার জন্য আপনি নিমপাতার বরি খেতে পারেন নিমপাতার বড়ি খেলে জ্বর সর্দি কাশি আরো নানা ধরনের রোগ শরীর থেকে নিরাশ অথবা আপনার যদি দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে কিংবা দাঁতের গোড়া ব্যথা হয় তাহলে নিমপাতা দাদুন করবেন ও নিম পাতার গুড়া দিয়ে মুখ  কুলি  করবেন তাহলে এরূপ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url